• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেজিতে তরমুজ বিক্রি  


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২২, ০৯:২৯ পিএম
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেজিতে তরমুজ বিক্রি  

বেশ কিছুদিন হলো বাজারে এসেছে প্রিয় ফল তরমুজ। বরিশালে বাজারভরা তরমুজ, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা— এমন প্রশ্ন জনসাধারণের।

এখন বরিশালের বাজারগুলোতে বলতে গেলে তরমুজের ছড়াছড়ি। বাজারভরা তরমুজ থাকলেও দামে খুব একটা খুশি নন ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটখোলা ও পোর্ট রোড আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা পিস হিসাবে তরমুজ কিনে থাকেন। তবে তারা খুচরা বাজারে বিক্রি করেন কেজি দরে। কেউ কেউ বলছেন— ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্য একজোট হয়ে কেজিতে তরমুজ বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একটি তরমুজ মোটামুটি ৫ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৫০ টাকা করে কেজি ধরলেও সবচেয়ে ছোট সাইজের একটি তরমুজের দাম হয় ২৫০ টাকা। ১২ কেজি ওজনের তরমুজের দাম হয় ৬০০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে সাধারণ মানুষের পক্ষে ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে পড়বে, এখনই এর লাগাম টেনে ধরতে হবে নইলে পকেট কাটা পড়বে সাধারণ মানুষের। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিক্রেতারা বলছেন, ১০০ পিস হিসাবে দাম ধরে তাদের তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এতে ছোট-বড় সব আকারের তরমুজের জন্য একই দাম দিতে হয়। বড় তরমুজ দিয়ে মূলত তারা লাভ করে থাকেন। কেউ চাইলে না মেপেও দর-দাম করে তরমুজ নিতে পারবেন।

চৌমাথার একাধিক তরমুজ বিক্রেতারা বলেন, “আমরা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছি। আমরা জানি এটা অন্যায় কিন্তু কি করব সবাই তো এভাবে বিক্রি করছে। বেচাকেনাও কম।”

ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “এ বিষয়ে যেহেতু সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই, তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয় করার অধিকার রয়েছে ক্রেতাদের। তারপরও এ বিষয় আমরা ব্যবস্থা নেব।”

Link copied!